প্রকাশিত: Sat, Apr 15, 2023 6:40 AM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 7:26 AM

মার্চের প্রথম দিকে এসেছে কিছুটা কম

বাংলাদেশ এবার গঙ্গা থেকে ভালো পরিমাণ পানি পেয়েছে

সালেহ্ বিপ্লব: ৪০ বছরে (১৯৪৯-১৯৮৮) নদীটির ঐতিহাসিক পানি প্রবাহের ভিত্তিরেখার তথ্য বিবেচনা করে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) সদস্য ডক্টর মোহাম্মদ আবুল হোসেন। তিনি এও বলেন, চলতি বছরের মার্চের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ তার ন্যায্য অংশের বিপরীতে কিছুটা কম পানি পেয়েছে। জেআরসি আগামী মে মাসে একটি বৈঠক করবে। সেখানে জানতে চাওয়া হবে, ভারত নদী থেকে পানি সরিয়ে নিচ্ছে কি না? বাসস 

গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ১৯৯৬ অনুসারে, বাংলাদেশ ও ভারত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রতি ১০ দিনের সময়কালের ভিত্তিতে গঙ্গা নদীর পানি ভাগ করে নেয়। ফারাক্কা পয়েন্টে পানির পরিমাণ ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম হলে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই সমান পানি পাবে। ফারাক্কা পয়েন্টে পানির পরিমাণ ৭০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি হলে, ভারত প্রবাহের ভারসাম্য পাবে এবং বাংলাদেশের অংশ হবে ৩৫ হাজার কিউসেক। ফারাক্কা পয়েন্টে পানির প্রাপ্যতা ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি হলে, বাংলাদেশ প্রবাহের ভারসাম্য পাবে এবং ভারতের অংশ হবে ৪০ হাজার কিউসেক। 

জেআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ১০ দিনে পানির প্রাপ্যতা ছিল যথাক্রমে ৮৫ হাজার ৩১৬ কিউসেক, ৭০ হাজার ৮২৭ কিউসেক এবং ৬৯ হাজার ৯৯০ কিউসেক। ফেব্রুয়ারির প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ১০ দিনে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৭ হাজার ৩৬৪ কিউসেক, ৫৯ হাজার ৩৭৬ কিউসেক এবং ৪৭ হাজার ৮৯১ কিউসেক।